গাঁজা খেলে কি হয়?
গাজার নেশা কাটানোর উপায়।
গাঁজার নেশা থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। কেউ যাতে গাঁজা খেতে না পারে, সে জন্য পরিবারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশে গাঁজা সহজলভ্য, এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্তান কার সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরছে—এসব ব্যাপারে মা–বাবাকে খোঁজখবর রাখতে হবে।
সন্তানকে গুণগত সময় (কোয়ালিটি টাইম) দিতে হবে। সন্তানের বন্ধু হতে হবে। তার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। বন্ধু হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। ক্ষতিকর দিকগুলো ভালোভাবে বোঝাতে হবে। যদি কারও মধ্যে হঠাৎ করে আচরণের পরিবর্তন দেখা যায় যেমন রাত জাগে, দিনে ঘুমায়। কারণে–অকারণে মিথ্যা কথা বলে। ঠিকমতো স্কুলে যায় না, দেরি করে বাড়ি ফেরে, নতুন বন্ধুবান্ধব তৈরি হয়। অকারণে টাকা চায়। খারাপ আচরণ করে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে।
গাঁজায় আসক্তির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। এর জন্য রোগী ও তার স্বজনদের ধৈর্য ধরতে হয়। এ সমস্যার দ্রুত কোনো সমাধান নেই। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশমতো ওষুধ খেতে হবে।
গাজার ক্ষতিকর দিক
রতে গাজা সেবনের ফলে অনেক ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। নিয়মিত এবং বেশি মাত্রায় গাঁজা জাতীয় দ্রব্য সেবনে গাঁজা সাইকোসিস নামে একধরনের লক্ষন হয়। এতে চোখে রক্তজমে চোখ লাল হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা, নির্জিবতা, শরীরের মাংস-পেশী শুকিয়ে যাওয়া, অত্যধিক দুর্বলতা, হাত-পা অনবরত কাপতে থাকা, পুরুষত্বহীনতা থেকে শুরু করে পুরোপুরি মানসিক রোগী হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
রানিং এমোক নামক আরেক ধরনের মানসিক বিপর্যয় ও গাঁজা সেবিদের পরিণতি হয়ে আসতে পারে। অবিরত গাঁজা সেবনের কারণে অনেক সময় এদের দৃষ্টিভ্রম, নির্যাতিত-বঞ্চিত হবার কল্পনা থেকে এরা হিংসাত্মক, আগ্রাসি সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। রানিং এমক হলে লোকটি চোখের সামনে যাকে পায় তাকে তার কল্পিত শত্রু মনে করে অস্ত্র নিয়ে হত্যা করতে পারে এবং এই মানসিক অবস্থা কেটে যাবার আগ পর্যন্ত যাকে সামনে পায় ক্রমান্বয়ে তাকেই হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। এই আবেশ কেটে গেলে একসময় সে আত্মহত্যা কযেতে পারে অথবা আত্মসমর্পণও করতে পারে।
গাঁজার নেশা কাটানোর উপায়।
টক ফল
আঙ্গুর ফল, কমলা, লেবু ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস নেশার খাটার জন্য দায়ী কেমিক্লযাকে নিষ্ক্রিয় করে। এই ফলগুলো খাওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে সমস্ত নেশা চলে যায়। শরীর সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলে।
টক পদার্থ
টক পদার্থ সব সময় নেশা কমাতে সাহায্য করে৷ যদি কেউ গাঁজা এর মাত্রারিক্ত সেবন করে নেয় তাহলে তাকে লেবু ,ঘোল, টক দই, কাঁচা আমের শরবত অথবা আমলার শরবত খাওয়ান ৷ এটা নেশা কমাতে এবং আপনাকে সাধারণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে৷ যারা নেশা করেন তাদের সকলকেই গাঁজার নেশা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানা জরুরী।
লেবু
চিনি অথবা লবণ ছাড়া লেবুর শরবত ৪-৫ বার খেলে নেশা কেটে যায়।এছাড়া শুধুমাত্র লেবু চাটলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সরিষার তেল
যদি কেউ গাঁজা সেবন এর কারণে অনেকক্ষণ অচেতন অবস্থায় থাকে, তাহলে তার কানে দু ফোটা সরষের তেল দিলে তার অচেতন অবস্থা কেটে যায়।
চানা ও কমলা
যদিও আমরা সবাই ছোলার বিবিধ গুণ সম্পর্কে অবগত তাও সম্ভবত আপনি এটা জানেন না যে ছোলা গাঁজার নেশা কাটাতে সাহায্য করে। যদি কেউ গাঁজা এর অতিরিক্ত সেবন করে থাকেন তাহলে তাকে ভাজা ছোলা এবং কমলালেবু খেতে দিন,এতে তার নেশা কেটে যাবে।
দেশি ঘি
গরুর দুধের খাতি ঘী গাজার নেশা কাটাতে অনেক সাহায্য করে। বিশেষ করে ঘী এর ব্যাবহার এর মাত্রা ৫০০ মিলি এর মত হয় তবেই তা লক্ষণীয় হয়।
আদা
নেশা কাটানোর জন্য আদা বেশ উপকারী একটি বস্তু।
এই সব কিছু প্রয়োগ করার পরও যদি নেশা না কাটে তবে অবশ্যয় ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।